ফ্লোরিডার ‘কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন’-এ ব্লু অরিজিনের লঞ্চপ্যাডে বসানো হয়েছে ৩০ তলা ভবনের সমান লম্বা ও আংশিক পুনঃব্যবহারযোগ্য ‘নিউ গ্লেন’ রকেট লঞ্চারটিকে।
Published : 13 Jan 2025, 02:11 PM
মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠিত মহাকাশ কোম্পানির নতুন রকেট।
সোমবার ভোরে যা বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২ টায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে তাদের ‘নিউ গ্লেন’ রকেটের উদ্বোধনী উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজোসের ‘ব্লু অরিজিন’ কোম্পানিটি।
উৎক্ষেপণের সেই সময় পেরিয়ে গেলেও সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দুটা পর্যন্ত লঞ্চ সাইটেই ছিল রকেট। তবে, উৎক্ষেপণ টিম বলেছে, আবহাওয়া চমৎকার এবং তারা উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রকেটটি পৃথিবীর কক্ষপথে গুরুত্বপূর্ণ এক আত্মপ্রকাশের কাছাকাছি রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বাজারে ইলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত লক্ষ্যের দিকেও একটি বড় পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে এটি।
ফ্লোরিডার ‘কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন’-এ ব্লু অরিজিনের লঞ্চপ্যাডে বসানো হয়েছে ৩০ তলা ভবনের সমান লম্বা ও আংশিক পুনঃব্যবহারযোগ্য ‘নিউ গ্লেন’ রকেট লঞ্চারটিকে।
মিথেন ও পর্যাপ্ত তরল অক্সিজেন প্রোপেল্যান্ট বোঝাই হওয়ার পরে রাত ১:৩০ ইটি সময়ে অর্থাৎ বাংলাদেশি সময় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মহাকাশে উৎক্ষেপিত হওয়ার কথা ছিল এর। তবে বারবার রকেটটির উৎক্ষেপণের সময় বিলম্বিত হচ্ছে।
হাজার হাজার কোটি ডলারের উন্নয়ন যাত্রার চূড়ান্ত পরিণতি এক দশকদীর্ঘ এই মিশন। উৎক্ষেপণের ১০ মিনিট পরে ‘নিউ গ্লেন’ রকেটটির প্রথম পর্যায়ের বুস্টারটি আটলান্টিক মহাসাগরেরি ফেয়ারিং বার্জে অবতরণের চেষ্টা করবে, একই সময় রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়টি পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে অগ্রসর হবে।
২০০০ সালে ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠা করেন বেজোস। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “রকেটটির বুস্টার ল্যান্ডিং নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। প্রথম ফ্লাইটের ক্ষেত্রে মিশনের যে কোনও পর্যায়ে অসঙ্গতি ধরা পড়তে পারে। তাই যে কোনও কিছু ঘটতে পারে।”
উদ্বোধনী রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশযানটিকে এর কাঙ্ক্ষিত কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া কোনও মহাকাশ কোম্পানির জন্য এক বিরল অর্জন।
“আর আমরা যদি এটি করতে পারি তাহলে সেটি হবে এক বিরাট সাফল্য। বুস্টারটি অবতরণের বিষয়টি আমাদের পরিস্থিতিকে আরও ভাল করবে,” বলেছেন বেজোস।
ইলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি শক্তিশালী নিউ গ্লেন রকেটটি। একইসঙ্গে কয়েক ডজন গ্রাহক লঞ্চ চুক্তি রয়েছে, যার সম্মিলিত মূল্য রয়েছে কয়েক শ কোটি ডলার।