০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
লেখক ও শিক্ষক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনের সহকারী অধ্যাপক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। আইসিসিআর স্কলার হিসেবে ভারতের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, গবেষণার শিরোনাম: 'ন্যাশনালিস্ট হেজিমনি ইন অ্যাকাডেমিক কালচার অব প্রি-ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট: এ স্ট্যাডি অন বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান'।
রাষ্ট্র বনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনার জন্ম হয়েছে কিংবা অদূর ভবিষ্যতেও হবে, সেটিকে হোয়াইট হাউস বনাম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বিরোধ হিসেবে দেখাই সঙ্গত হবে।
একটি অসরকারি-অরাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, তা-ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের আয়োজনে সরকার কেন হস্তক্ষেপ করতে মরিয়া হয়ে উঠল? কোন অনুপ্রেরণায়? কার বা কাদের প্ররোচনায়? নিজের মনে যা চাইল, ইতিহাসের বাছবিচার না করে তা-ই চাপিয়ে দেওয়ার নাম কি গণতন্ত্র? এজন্য গণমানুষ একটা রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছিল?
নারীর প্রতি সহিংসতা, নৃশংসতা, সংজ্ঞায়িত-অসংজ্ঞায়িত সকল যৌন নিপীড়ন এবং দঙ্গল-অবজ্ঞা চলার এমন চরমাবস্থায়, স্বৈরাচার হটানো গণঅভ্যুত্থানের গরিমায় ঋদ্ধ বাংলার মেয়েদের প্রতিরোধপ্রত্যয়ী আওয়াজ তুলতে আবারও রাজপথে নামতে হয়েছে— ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘আমার সোনার বাংলায়/ ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’।
প্রতুলের গানের যে সমাজচেতনা, যে রাজনীতিমুখিনতা তা নিশ্চিতভাবেই একটা সমাজ বদলের লড়াইয়ের জন্য প্রাণসঞ্চারী। বাংলাভূমে এমন কোনো আন্দোলন আছে যেখানে তার ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে সাথীরে...’ গানটি সোচ্চারে উচ্চারিত হয় না?
আমরা কি চেয়েছিলাম আমলের বদল ঘটলেও, আদলের বদল না ঘটুক? ব্যবস্থা ও বন্দোবস্তের বদল না ঘটুক? বদল না ঘটুক রুচির, সংস্কৃতির ও সংহতির? ক্ষমতার চর্চা ও অপব্যবহারই যদি শেষ গন্তব্য হয়, তাহলে মানুষের মুক্তি ও মুক্তচিন্তার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে কীভাবে?
আমরা ‘আদিবাসী’ (ইনডিজেনাস) শব্দটিকে ‘আদি বাসিন্দা’ (আরলিয়েস্ট মাইগ্রেন্টস) হিসেবে পাঠ করতে ও কাউন্টার দিতে শিখেছি। প্রপাগান্ডা মেশিন বোধহয় এভাবেই কাজ করে। ‘আদিবাসী’ মোটেও আদি বাসিন্দা অর্থে ব্যবহৃত হয় না।