এর আগের তিন দিনে একটানা সূচক কমে ৩৪ পয়েন্ট। সেখানে বুধবার একদিনে যোগ হলো ১০ পয়েন্ট।
Published : 09 Apr 2025, 04:45 PM
টানা তিন দিন পর ইতিবাচক হয়ে সূচকে আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট যোগ হয় দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইতে।
আগের দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ১৮৫ পয়েন্ট।
এর আগের তিন দিনে একটানা সূচক কমে ৩৪ পয়েন্ট। সেখানে বুধবার একদিনে যোগ হলো ১০ পয়েন্ট।
সকাল থেকেই টানা উত্থানে লেনদেন চলে ডিএসই। প্রথম সোয়া দুই ঘণ্টার লেনদেনে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচকে যোগ হয় ৩৫ পয়েন্ট অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে সূচক বেড়ে হয় ৫ হাজার ২২০ পয়েন্ট।
সেখান থেকে সময় গড়ালে দর সংশোধনে যায় সূচক। শেষ বেলাতেও সংশোধন হওয়ায় দিন শেষে চূড়ান্ত সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৯৬ পয়েন্ট।
সূচকের পতন হলেও লেনদেন ক্রমাগত বেড়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর। বুধবারও শেয়ার হাতবদল বেশি হওয়ায় লেনদেন হয় ৫২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার।
এর আগে গত ২৪ মার্চ ৫০৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবস গত রোববার ৪১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। পরের দিন ৪৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ও মঙ্গলবার আরো কিছুটা বেড়ে হয় ৪৮৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৯৩টির; আগের দরে লেনদেন হয় ৫৪টির।
লেনদেনে আসা খাতগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরে বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন, বিমা ও প্রকৌশল খাতের মধ্যে থেকে। ডিএসইর লেনদেনেও এ তিন খাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে।
ডিএসইর লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একক খাত হিসেবে সার্বিক লেনদেনে প্রথম অবস্থানে চলে আসে ওষুধ ও রসায়ন। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে খাতটির শেয়ার হাতবদল হয় ৮৫ কোটি ২১ লাখ টাকার, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে জীবন বিমা খাত লেনদেন করে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও প্রকৌশল খাতের শেয়ার হাতবদল হয় ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে কনফিডেন্স সিমেন্ট, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস এবং ডরিন পাওয়ার।
অন্যদিকে দর হারানোর শীর্ষে চলে আসে বিচ হ্যাচারি, নিউ লাইন ক্লোথিংস ও সোনারগাঁও টেক্সটাইলস।