‘মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে কথা বলতে আমার অস্বস্তি হয়’, আর্জেন্টাইন মহানায়ককে নিয়ে বলছেন ইন্টার মায়ামির কোচ।
Published : 10 Apr 2025, 12:23 PM
দুই লেগ মিলিয়ে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর লিওনেল মেসির দিকেই তাকিয়ে ছিল দল। কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো অপেক্ষায় ছিলেন চেনা সেই জাদু দেখার। জাদুকর হতাশ করেননি। জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়ে তুলে নিয়েছেন সেমি-ফাইনালে। ম্যাচের পর মেসির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মাসচেরানো বললেন একটি অস্বস্তির কথা। ব্যাখ্যা করলেন সেটির কারণও।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ইন্টার মায়ামি দ্বিতীয় লেগেও পিছিয়ে পড়েছিল শুরুতে। পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নেয় তারা ৩-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয় ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় পৌঁছে যায় সেমি-ফাইনালে।
জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক মেসি। ম্যাচ শেষে খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠা কোচ মাসচেরানো আলিঙ্গনে জড়ান দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে।
মেসির সঙ্গে মাসচেরানোর সম্পর্ক অনেক পুরোনো। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০০৫ সালে অভিষেকের সময় থেকেই একসঙ্গে খেলেছেন দুজন। ২০১০ সালে মাসচেরানো বার্সেলোনায় নাম লেখানোর পর সেখানেও সতীর্থ হয়ে যান দুজন।
কাতালান ক্লাবটিতে ২০১৮ পর্যন্ত ছিলেন মাসচেরানো। এখন আবার দুজন সঙ্গী হয়েছেন মায়ামিতে। সম্পর্কটা এখন কোচ ও খেলোয়াড়ের। বন্ধুত্বেরও। ম্যাচ জয়ের পর সেটিই শোনালেন মায়ামি কোচ।
“মেসি এই দলের হৃদয়। মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে কথা বলতে আমার অস্বস্তি হয়, কারণ ২০ বছর ধরে তাকে চিনি আমি এবং তার ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে আমাকে পাশে থাকতে হবে।”
“সে এমন একজন, ফুটবলের সবকিছুই যার আছে। সে ইতিহাসের সেরা এবং এখনও সে নতুন পথ তৈরি করে চলেছে এবং নতুন প্রজন্মকে নির্দেশনা দিচ্ছে এবং সবকিছু জয়ের পরও মাঠের শেষ দিনটি পর্যন্ত এটা করে যাবে।”
কিছুদিন পরই বয়স ৩৮ পূর্ণ হবে মেসির। তবে এখনও তার ফর্মে ভাটার টান নেই। সেরা সময় অবশ্যই এখন আর নেই। তবে সেরা সময়ের ঝলক দেখান নিয়মিতই, এখনও ব্যবধান গড়ে দেন ক্লাব ফুটবল থেকে শুরু করে জাতীয় দলে। তার ভেতরের সেই ক্ষুধাটা দেখতে পান মাসচেরানো।
“সে সবসময় জিততে চায় এবং অসম্ভবকে সম্ভব করেই যাবে। ফুটবলের ব্যাপারটিই হলো তাড়নার, তবে সেই সামর্থ্যও থাকতে হবে। তার সেই সামর্থ্য আছে, কারণ সে সর্বকালের সেরা।”
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও মেসি, জর্দি আলবার মতো তারকারা দলকে ধীরস্থির থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছেন, ম্যাচ শেষে বললেন দলের আরেক তারকা লুইস সুয়ারেস।
“লিও ম্যাচের সময় আমাদেরকে বলেছে, জর্দি বলেছে যে, ওরা গোল করলেও আমাদেরকে শান্ত থাকতে হবে। তিনটি গোল করার প্রয়োজন ছিল আমাদের। দলের অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা ও পারফরম্যান্স দিয়ে আমরা তা করেছি।”