এই বাম নেতা “সরকারকে বলতে চাই, অতিকথন বন্ধ করুন, বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করুন।”
Published : 11 Apr 2025, 02:50 PM
অন্তর্বর্তী সরকারের আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা দরকার- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এরকম বক্তব্যে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “গতকালকে আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি ঢাকার বাইরে এক সমাবেশে বলেছেন… তার কথা… মানুষ নাকি বলছে, এই সরকারের আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার দরকার।
“আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই, আপনি কি সরকারের মনের কথাটাই আপনার মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলেন? আসলে আপনাদের মতলবটা কী, উদ্দেশ্যটা কী?”
সাইফুল হক বলেন, “আপনার (সরকার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি যদি আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলেন জনগণের দোহাই দিয়ে, সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আপনাদের ভিন্ন কোনো এজেন্ডা আছে কি না, নতুন করে এজেন্ডা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”
তিনি মনে করেন, সরকারের উচিত হবে দেশবাসীর সামনে অবস্থান পরিষ্কার করা।
এই বাম নেতা বলেন, “সরকারকে বলতে চাই, অতিকথন বন্ধ করুন, বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করুন। মানুষের নাম করে আপনারা যা করছেন তাতে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে, অবিশ্বাসের জায়গাটা বাড়বে। তাতে আমরা যেটুকু অর্জন করতে পারতাম সে অর্জন কিন্তু বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
“প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে বলব, আপনার উপদেষ্টাকে সর্তক করুন। যারা সর্তক হবেন না প্রয়োজন বোধে তাদেরকে বরখাস্ত করুন। নতুন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্ব দিন।”
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান সাইফুল হক।
গাজায় গণহত্যা বন্ধ, ফিলিস্তিন দখলমুক্ত করা এবং নেতানিয়াহুর বিচারের দাবিতে বিপ্লবী যুব সংহতির উদ্যোগে সংহতি মানববন্ধন হয়।
সাইফুল হক বলেন, “যতদিন ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে ততদিন বাংলাদেশের মানুষ আমরা ফিলিস্তিনের রক্তের দায় পরিশোধ করার জন্য ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। আমরা অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধের দাবি জানাই, অবিলম্বে আগ্রাসন-দখলদারিত্ব বন্ধের আমরা দাবি জানাই।”
‘ভারতের সাথে সকল চুক্তি পর্যালোচনা দরকার’
সাইফুল হক বলেন, “দুইদিন আগে দেখলাম, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি এককভাবে ভারত বন্ধ করতে পারে না। এটা কোনো প্রতিবেশির পরিচয় নয়, এটা বন্ধুত্বের কোনো নমুনা নয়।
“আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই, আমাদের বাগেরহাটের যে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প যেটা ভারতের স্বার্থে নেওয়া হয়েছিল…এরকম অনেকগুলো প্রকল্প, এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত যাবতীয় দেশবিরোধী, নিরাপত্তাবিরোধী চুক্তিগুলো প্রকাশ করা দরকার, পর্যালোচনা করা দরকার, যেগুলো জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি সেগুলো বাতিল করা দরকার।”
তিনি বলেন, “ভারতের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমরা আমাদের যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করতে চাই। সমতা, ন্যায্যতা, সমঅংশীদারত্বের ভিত্তিতে, মর্যাদার ভিত্তিতে ভারতের সাথে আমরা আমাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে চাই।”