এবারের পরিবেশকে ‘প্রাণহীন’ বলছেন চারুকলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
Published : 11 Apr 2025, 04:03 PM
আর তিন দিন পর পহেলা বৈশাখ, অথচ চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের যে শোভাযাত্রা বের হয়, সেটি নিয়ে সেখানে তেমন কোনো ব্যস্ততা দেখা যায়নি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং চারুশিল্পীদের মাঝে।
এবারের পরিবেশকে ‘প্রাণহীন’ বলছেন চারুকলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
সাধারণত প্রায় মাসখানেক আগে থেকে এই ‘শোভাযাত্রাকে’ ঘিরে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়ে যায় চারুকলায়, এবার উৎসবের ক্ষণ এগিয়ে আসলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে ছুটির দিনের সকাল বেলায়।
শুক্রবার চারুকলায় গিয়ে দেখা গেছে, মোটিফ আর নানা রকম মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত অল্প কিছু শিল্পী, শিক্ষক এবং চারুশিল্পী।
চারুকলার ভেতরে ক্যান্টিনের সামনে বসে গল্প করছিলেন সাহিদা ফ্যান্সি, জাহিদ হাসান এবং শাহিনা জবিন সৈয়দ। দিনের বেলাতেই চারিদিকের নীরবতাকে ‘সুনসানই’ বলা যায়।
তিন দর্শনার্থীই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, বর্ষবরণের আগের সপ্তাহে চারুকলায় থাকে উৎসবের আমেজ, এতটা প্রাণহীন থাকে না কখনোই।
এরই মধ্যে ঘোষণা এসেছে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামটি এবারের আয়োজনে থাকছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই শোভাযাত্রার নাম থেকে ‘মঙ্গল’ শব্দটি ছেঁটে ফেলে নতুন নামকরণ হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
শাহিনা জবিন বলেন, “এবারের আয়োজনে নারীর অংশ্রগ্রহণও খুব কম।”
তবে শোভাযাত্রার আয়োজকেরা বলছেন, এবার শোভাযাত্রা হবে ‘অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক’। দেশে বসবাসরত ২৮টি জনগোষ্ঠীর লোকজন শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের বার্তা দেবে এবারের শোভাযাত্রা।
নাম বদল নাকি পুনরুদ্ধার?
‘মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামটি যে এবারের আয়োজনে থাকবে না, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার সেটিই সত্যি হয়েছে।
বিতর্ক আর নানা আলোচনা-সমালোচনাকে সঙ্গী করে বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল।
শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম ঘোষণা করেন শোভাযাত্রার নতুন নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
তবে আয়োজন সংশ্লিষ্টরা নাম বদল না বলে, এটাকে ‘পুনরুদ্ধার’ বলছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আজহারুল বলেন, “আগেও পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রাটি হত, তার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। সেটি পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছিল। আমরা আবার ‘আনন্দ শোভাযাত্রায়’ ফিরে গেলাম। এটাকে পুনরুদ্ধার বলা যেতে পারে।”
গত শতকের আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি।
পহেলা বৈশাখের সকালে বরাবরই রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষ উদযাপনে তার আগে থেকেই শাহবাগ এলাকা রূপ নেয় জনারণ্যে।
চারুকলার ডিন বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপক এই আয়োজনের লক্ষ্যে শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যার ছায়াতলে দেশের সকল বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিফলিত হবে বর্তমানের সব শ্রেণির মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং ফুটে উঠবে শোভাযাত্রার প্রকৃত আনন্দ।”
এবারের আয়োজনে ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্য শোভাযাত্রাটি সকলের হয়ে উঠবে বলেও মনে করছেন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২৩ মার্চ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেছিলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে, না কি তা পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে তার দেওয়া ব্ক্তব্যকে ‘মিস কোট’ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্ষবরণের প্রস্তুতিকে ঘিরে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ সময় তাকে কৌশলে শোভাযাত্রা বলতে শোনা গেলেও, তিনি এড়িয়ে গেছেন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি।
চারুকলা অনুষদ থেকেও প্রস্তুতির খবর জানাতে সাংবাদিকদের যে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানেও ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ না লিখে, কেবল ‘শোভাযাত্রা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে ও ধারণায়’ কিছু করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেছেন, “নববর্ষের দিন মানুষ শালীনতা ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত পন্থায় নানা আয়োজন করতেই পারে। কিন্তু সেই দিন কোনো যাত্রা করলে তাতে মঙ্গল হবে- এমন বিশ্বাস করলে বা ধারণা করলে পরিষ্কারভাবে তা গুনাহের দিকে নিয়ে যাবে।
“তাই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু অবশ্যই করা যাবে না। ‘মঙ্গল শব্দ ও ধারণা’ অবশ্যই বাদ দিতে হবে।”
আয়োজনে যা যা
আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজনে থাকবে বড়, মাঝারি ও ছোট মোটিফ। এর মধ্যে বড় মোটিফ থাকবে ৬টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। নারীর দাঁতাল মুখাবয়বে মাথায় রয়েছে খাড়া দুটো শিং।
এই মোটিফটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি দেখে কেউ যদি কারো সঙ্গে মিল খুঁজে পান, তা প্রত্যাকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা সামগ্রিকভাবে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান তুলে ধরছি।”
শোভাযাত্রায় বড় মোটিফের মধ্যে থাকবে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, ৩৬ জুলাই (টাইপোগ্রাফি), শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল।
এছাড়া অন্যান্য মোটিফের মধ্যে থাকবে ১০টি সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ২০টি রঙিন চরকি, ২০০টি বাঘের মাথা, ৮টি তালপাতার সেপাই, পলো ১০টি, ৫টি তুহিন পাখি, ৬টি মাছের চাই, ৪টি পাখা, ২০টি মাথাল, ২০টি ঘোড়া, ৫টি লাঙল, ৫টি মাছের ডোলা এবং ১০০ ফুট লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস ১০০ ফুট থাকবে।
চারুকলার সম্মুখভাগের দেয়ালে আঁকা হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শখের হাঁড়ির মোটিফ।
জয়নুল শিশু নিকেতন দেয়ালে আঁকা হচ্ছে সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী মাটির দেয়াল অমনরীতি অবলম্বনে চিত্র।
শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক’। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও মূলত এটি তাদের পতাকা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, ফলটির বাইরের অংশের রঙ সবুজ। আর ভেতরের অংশগুলোর রঙ লাল, সাদা ও কালো। এ রঙগুলো ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।”
এবারের শোভাযাত্রায় অন্যান্য মোটিফের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মুসলমানদের লড়াই ও সংসামের সাথে সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিফ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তিতে চারুকলায় আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে।
বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের দুই স্টেশন
চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের হবে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'। এ সময় শাহবাগ এবং টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেন থামবে না, তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবারের শোভাযাত্রায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা সামনে না থেকে দুই পাশে হাঁটবে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো রকম ‘শঙ্কাও নেই’ বলে জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিকেল ৫টার পর প্রবেশ করা যাবে না। নগরীর অন্যান্য স্থানে সন্ধ্যার পরও বর্ষবরণের আয়োজন সন্ধ্যার পরও থাকবে, তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকেল ৫টার মধ্যেই আয়োজন শেষ করা হবে।
আয়োজন সংশ্লিষ্টরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এবারের বর্ষবরণ ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের কালপর্ব শেষে বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চার মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত বৈশাখ। নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৃহৎ কর্মযজ্ঞ পালন করছে যা ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে।
“এবারের নববর্ষ উদ্যাপনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এক নতুন এবং অগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একই ভূ-খণ্ডে বসবাসরত সকল ভাষা ও সংস্কৃতির অংশীজনেরা একসাথে ঐকতান করতে যাচ্ছে। এবারের নববর্ষ বাংলাদেশী প্রতিটি মানুষের।”
এই আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে বর্ণনা করে চারুকলার ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, “বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার কাল থেকে, উত্তীর্ণ হবার বার্তা দিতে হবে।
“এবারের নববর্ষের আয়োজন সকল অন্যায্যতাকে বিনাশ করে ন্যায্য ও সত্যকে নব আলোর গতিধারায় একত্রবদ্ধ করবে গোটা সমাজকে। বৈশাখে ধ্বংস এবং সৃষ্টির সুর দুইই গতি প্রাপ্ত হয়। নববর্ষ পালন জীর্ণ জীবনকে সৃষ্টি দ্বারা বিদীর্ণ করে বেঁচে থাকবার প্রেরণা তৈরি করে দেয়। আর সেজন্যই ফ্যাসিবাদের বিনাশ নতুন আলোর পথটাকে উন্মুক্ত করে দেবে, অন্ধকার ছায়াকে বিদায় জানাবে।”
এবারের বৈশাখ ‘সকলের হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের ভূ-খণ্ডে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠী এবারের বৈশাখ বরণের অংশীদারিত্ব অর্জন করেছে। পাহাড় থেকে সমতল সবাই একসাথে বর্ষবরণ উদযাপন করব। এবারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একপেশে সংস্কৃতি চর্চার সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উদার ও শুদ্ধ চর্চার দিকে অগ্রসর হতে পারব বলে আশা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটি সদস্যরা।
নাম বদলে মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'