Published : 18 Nov 2021, 05:51 PM
বেসামাল
যাবে?
একদিন?
দেখাবো,
নদীর উপর কী করে শুয়ে থাকে
ঢেউ-খেলা মাঠ!
যাবে?
দেখাবো,
সবুজ পাহাড়ের কী করে মিশে থাকে পাহাড়ি-রঙ টিয়া!
যাবে?
একদিন?
দেখাবো,
মহুয়ার মদ কী করে ভুলিয়ে দেয় নিষিদ্ধ বেসামাল হবার বিভেদ!
শরীরের মন অথবা মনের শরীর
–
শরীরটা তীব্রবেগে শরীরের দিকে ছুটছে
ছুটছে তো ছুটছেই
টগবগ টগবগ টগবগ
শরীর শরীর শরীর…
তোমার কি মন নাই, শরীর?
মনটা শুধু মনের দিকে ধাইছে
ধাইছে তো ধাইছেই
টগবগ টগবগ টগবগ
মন মন মন…
এতো মন মন করো কেন?
তোমার কী শরীর নাই মন!
দুয়ার
–
ঘরের ভেতরটা ফাঁকা
তবু অভ্যেস বশে বেল বাজাই, একবার, দু'বার, তিনবার, চারবার…
নাহ্! সত্যিই কেউ নেই, কেউ খুলে দেয় না দুয়ার!
পকেট হাতড়ে বের করে চাবিটাকে আলোর মুখে ধরি,
এমন চাবি চাইনি, যাতে সব দরজা খোলে।
একজন মানুষ চেয়েছিলাম যে
আর কারো না শুধু আমার দুয়ার খোলে!
নিদেনপক্ষে
আমি তো আর ফিরছি না এইবেলা
তোমায় দিয়ে সকল কিছু জমা,
আমার শুধু উপসাগর থাক,
নিদেনপক্ষে সবুজ পাহাড়মালা!
আমি তো আর ফিরছি না এইবেলা
তোমায় দিয়ে সকল কিছু জমা
আমি নিলাম আঁধাররাতের তারা
নিদেনপক্ষে জোনাকপোকার মেলা।
আমি তো আর ফিরছি না এইবেলা
তোমায় দিয়ে সকল কিছু জমা
আমার থাকুক পাখির ঝরাপালক
নিদেনপক্ষে ঝরাফুলের মালা।
আমি তো আর ফিরছি না এইবেলা
তোমায় দিয়ে সকল কিছু জমা
আমার থাকুক পায়রা-ডাকা ভোর
নিদেনপক্ষে তালার দুয়ার খোলা।
পংক্তিমালা
–
একবার নেশা হয়ে গেলে,
গেলাশের শূন্যতাও মদ!
*
কার কী এসে যায় আমার রাত্রি জাগরণে?
তোমার চোখ আর বুকের পশমেরা জানে!
*
ছিঁড়ে না নিলেও
স্পর্শের মালিকানাটুকু হোক;
নাহয় ভিজলো না ওষ্ঠপুট,
চোখের পাতায় চুমুটা থাকুক!
*
ছিনতাইয়ের অভিজ্ঞতা নেই একেবারে,
এবার হবে; উঁকি দেয়া লোমশ বুকটাকে,
ছিনিয়ে নেবো,
বেঁধে নিয়ে প্রেমের বাঁকে।
*
লোমশ বুক প্রলুব্ধ করে তুললে অধিকার জন্মে যায় আহ্লাদী আবদারের;
অন্তত একদিনের জন্য ঐশ্বর্যশালী কোরো, ইশ্বর! শুধু একটি দিন!
*
তখন তোমার কাছেই থাকি
তবু উঠি শিরশিরিয়ে,
ডাকনামে ডাকো যদি
বিশেষ সময় ফিসফিসিয়ে!
*
আমি লিখছি না, কেউ লিখিয়ে নিচ্ছে,
ভালোবাসছি না, কেউ বাসিয়ে নিচ্ছে,
সুরা খাচ্ছি না, কেউ মাতাল করে দিচ্ছে!
চুম্বন-তৃষ্ণা
চুম্বন-তৃষ্ণা জোটে, ক্ষুধা মেটে না,
আমার যে দুই পেট, পেট ভরে না!
তলপেটে উপুড়-কলস ভরতে চাই না
কুটি কুটি ভেঙেচুরেও শান্তি পাই না।
তৃষ্ণা নিবারণেও ক্ষুধা মেটে না,
আমার যে দুই পেট, পেট ভরে না!