Published : 30 Apr 2025, 09:50 PM
বর্তমান কমিশনকে অসহযোগিতার অভিযোগ ও এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পর বিক্ষোভের জেরে ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার প্রকাশ করেছে বিএসইসি।
সন্ধ্যায় সংস্থার এক সংবাদ বিজপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও দুইজনের ব্যাখ্যা তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এ কর্মকর্তাদের কারোর নাম প্রকাশ করেনি বিএসইসি।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, বরখাস্ত হওয়া ২১ জনের মধ্যে অর্ধেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে।
বিএসইসিতে কমিশন সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় গত ৬ মার্চ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আগারগাঁও থানায় মামলা করা হয়।
এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিতে কর্মরতদের মধ্যে এত সংখ্যক কর্মকর্তাকে একযোগে বরাখাস্ত করার নজির নেই বলেছেন বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার থেকে জানাজানি হলে বুধবার সারা দিনই উদ্বিগ্ন অবস্থায় কাজ করেছেন সবাই। এ অবস্থায় দুপুরের পর সবস্তরের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
সভার বিষয়ে পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসইসির সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ করেছেন রাশেদ মাকসুদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি সংস্থা হিসেবে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গত ৪ মার্চ নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
পরদিন সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা অংশ। পরে সেনা নিরাপত্তায় কমিশন সদস্যরা কার্যালয় ছাড়েন।
পরে ৬ মার্চ রাতে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় ১৬ জনকে আসামিকে করে এ মামলা দায়ের করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান আশিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, রেজাউল করিম ও সাইফুর রহমান, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, শহিদুল ইসলাম, আল ইসলাম ও উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, আব্দুল বাতেন, সাজ্জাদ হোসেন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, লাইব্রেরিয়ান সেলিম রেজা বাপ্পী।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে কর্মবিরতির মধ্যেই পরের দিন কমিশনে গিয়ে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চুল ছাড় না দেওয়ার’ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।