Published : 02 May 2025, 12:10 AM
শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে বনের মধ্যে পায়ে গভীর ক্ষত নিয়ে খুঁড়িয়ে চলা একটি হাতিকে চিকিৎসা দিয়েছে বনবিভাগ।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসার পর হাতিটি কাটাবাড়ি পাহাড়ের দিকে চলে যায় বলে তথ্য দেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
মাদী হাতিটির বয়স প্রায় ১০/১২ বছর। গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে আসা মেডিকেল টিম ও নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম মিলে সেটিকে চিকিৎসা দেয়।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় তিন-চার মাস আগে বল্লম জাতীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। এতে তার পায়ে তিন-চার ইঞ্চি দীর্ঘ আর প্রায় ছয় ইঞ্চির মত গভীর ক্ষত হয়। সে কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
“আমরা পাহাড়ে এসে হাতিটির আঘাত পাওয়া স্থানে ড্রেসিং করে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে বনে ছেড়ে দিয়েছি।”
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী বলেন, পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসা ওই হাতিকে অসুস্থ দেখতে পান স্থানীয়রা। তারা বনবিভাগকে খবর দিলে তিন দিন ধরে হাতিটির সন্ধানে খোঁজাখুঁজি চলে। একপর্যায়ে দাওধারা-কাটাবাড়ি পাহাড়ে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন শাকিব হোসেন সাগর বলেন, হাতিটি পাহাড়ের উপর অবস্থান করছিল। ডার্টগানের মাধ্যমে সেটিকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়। পরে কাছে গিয়ে দেখা যায় ডান পায়ে ক্ষত হয়ে পুঁজ জমেছে। এরপর ড্রেসিং করে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ও অন্যান্য ওষুধ লাগিয়ে দেওয়া হয়।
“পাঁচ ঘণ্টা ধরে হাতিটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেটি নিজেই উঠে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বনের দিকে চলে যায়,” বলেন তিনি।