Published : 30 Apr 2025, 02:54 PM
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মঙ্গলবার দূতাবাস প্রাঙ্গণজুড়ে এ আয়োজনে ছিল বৈশাখী আলপনা, ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জা ও উৎসবের আবহ।
রঙিন পাঞ্জাবি, শাড়ি আর হাতে মেহেদির নকশায় সেজে নারী-পুরুষ, শিশুরা যেন রং ছড়িয়েই আসেন নববর্ষকে বরণ করতে। পাঁচটি স্টলে সাজানো হয় নানা রকম পিঠা, দেশীয় খাবার, শাড়ি, অলংকার ও হস্তশিল্প।
বিদেশি অতিথিরাও এই আনন্দে মেতে উঠেন। কেউ কেউ যোগ দেন বৈশাখী সাজে, কেউবা গলায় তোলেন বাংলা গান।
অনুষ্ঠানের সূচনায় উপস্থিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগম।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা তার উদ্বোধনী বক্তব্যে নববর্ষের চেতনায় সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবতার জয়গান করেন।
তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালির অন্যতম বৃহৎ অসাম্প্রদায়িক উৎসব, যা ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাইকে একত্র করে।”
একইসঙ্গে তিনি প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সদ্যপ্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসকে স্মরণ করেন।
আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। গাওয়া হয় বর্ষবরণের গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’, এতে অংশ নেন দূতাবাস পরিবারের সদস্য ও ‘দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠনের’ শিল্পীরা।
শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ফ্যাশন শো। কবিতা আবৃত্তি করেন সোবা মনি আরজুকা ও সামিয়া রহমান মিম। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকি পরিবেশনায় অংশ নেয় একদল শিশু-কিশোর।
মঞ্চে একক সংগীত পরিবেশন করেন কুররাতুল আইন শাম্মী। পুথিপাঠ করেন সাইফুজ্জামান, হাফিজুর রহমান ও আহমেদ শরিফ। এছাড়া গ্রিক নাগরিক কনস্তান্তিনোস পরিবেশন করেন তিনটি বাংলা গান।