Published : 01 May 2025, 04:46 PM
বর্তমানে দেশে শ্রমিকদের চাকরির নিশ্চয়তা ‘স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে কম’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা।
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার এক সমাবেশে তিনি বলেন, “দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতায় পরিবর্তন এলেও শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
“বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে গুলি চালিয়ে, লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের মারা হয়েছে।”
মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জিপিও’র সামনে জাসদ চত্বরে ‘লাল পতাকা সমাবেশ’ করে জাসদের সহযোগী এ শ্রমিক সংগঠনটি।
সেখানে বাদশা আরও বলেন, “শ্রমিক আন্দোলন, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে বলপ্রয়োগ করে বন্ধ করা হয়েছে। বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবি তুললেই কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
“রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসার কারণেও শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের চাকরি ও কাজের নিশ্চয়তা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে কমে গিয়েছে।”
সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল বলেন, “শ্রমিক-কর্মচারী-শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
“ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, সকল ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি ও কাজের নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।”
লাল পতাকা সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা, জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকার সড়কে লাল পতাকা মিছিল করে সংগঠনটি।
সমাবেশ ও মিছিলে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শিল্পাঞ্চল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক জোট, জাতীয় পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ ডেকোরেটরর্স শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ পরিবহন হকার্স জোট, জাতীয় নির্মাণ শ্রমিক জোট, গৃহকর্মী শ্রমিক জোট, লেটার এন্ড কালার্স শ্রমিক জোট, মৎস্যজীবী শ্রমিক জোটের ব্যানারে শ্রমিক কর্মচারী লাল পতাকা, জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন সহ মিছিলে যোগ দেন।
শ্রমিক জোটের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরদার খোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মনসহ শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।