Published : 01 May 2025, 06:42 PM
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বিরুদ্ধে মারামারির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আবারও সমন জারি হয়েছে অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার নামে।
মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কড়া হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, এটাই শেষ সুযোগ। আগামী ৯ জুলাই শুনানিতে হাজির না হলে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে মালাইকার বিরুদ্ধে।
বলিউড হাঙ্গামা লিখেছে, ১৩ বছর আগের ওই ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে এর আগেও তিন দফা সমন জারি হয়েছিল মালাইকার নামে। কিন্তু তিনি আদালতে যাননি।
সর্বশেষ ২৯ এপ্রিলের শুনানিতেও তার অনুপস্থিতি আদালতের চোখে 'ইচ্ছাকৃত' বলে মনে হয়েছে। যদিও তার আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এস জানওয়ার বলেন, "মালাইকা আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন।”
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়, যা ৮ এপ্রিল পুনরায় জারি করা হয়। তারপরও আদালতে যাননি অভিনেত্রী।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালে। ওই সময় মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলের ভেতরে এক রোস্তোরাঁয় প্রবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী ইকবাল মীর শর্মা এবং তার শ্বশুরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে সাইফ এবং তার দুই বন্ধু শাকিল লাদাক ও বিলাল আমরোহীর বিরুদ্ধে।
সে সময় সাইফদের সঙ্গে তার স্ত্রী কারিনা কাপুর, কারিনার বোন কারিশমা কাপুর, অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা খান, অমৃতা অরোরা এবং কয়েকজন ছিলেন।
সাইফের ভাষ্য, শর্মা তার সঙ্গে থাকা নারীদের নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলছিলেন। তখন এর প্রতিবাদ জানালে শর্মার সঙ্গে তার ও দুই বন্ধুর তর্ক বাঁধে।
মুম্বাই পুলিশ বলছে, মীর শর্মা এবং তার শ্বশুরকে সাইফ ও তার বন্ধুরা গালিগালাজ করেছিলেন বলে অভিযোগে আছে। শর্মা এর প্রতিবাদ জানালে, সাইফ তাদের হুমকি দেন এবং নাকে ঘুষিও মারেন।
ওই ঘটনার পর সাইফ ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে শর্মা মামলা করলে তাদের গ্রপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য তিনজনই জামিনে মুক্ত হন।
তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য, মারামারির ওই ঘটনা ঘটেছে মালাইকার চোখের সামনে। তাই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মালাইকাকে।