Published : 30 Apr 2025, 11:51 PM
অর্থবছরের নয় মাস পেরিয়ে গেলেও বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ বাড়ছে না। সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি ঋণ ও অনুদান কমেছে ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সবশেষ হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে বিদেশি অর্থায়ন মিলেছে ৪৮০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৬৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
পাশাপাশি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিতে ভাটা দেখা গেছে। এ সময়ে প্রতিশ্রুতি মিলেছে ৩০০ কোটি ৫২ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার। অর্থ্যাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে সাড়ে ৫৮ শতাংশ।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের সবশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকার এরইমধ্যে প্রকল্প সংখ্যায় কাটছাঁট ও বরাদ্দ যাচাই বাছাই করে অর্থছাড় করতে শুরু করেছে। এতে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় কমেছে। এ কারণে বিদেশি অর্থায়নও কমেছে বলে তুলে ধরেন ইআরডি কর্মকর্তারা।
এ সময়ে সরকারের বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমলেও পুরনো ঋণ পরিশোধ প্রায় সাড়ে ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১২ কোটি ২০ লাখ ডলারে। স্থানীয় মুদ্রায় তা ৩৮ হাজার ৬৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
পরিশোধিত অর্থের মধ্যে আসলের পরিমাণ ছিল ২০১ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং সুদ ছিল ১২০ কোটি ১০ লাখ ডলার।
হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগের অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার; যা স্থানীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ২৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ: পরিশোধ বেড়েছে ৩০%, অর্থছাড়ের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিতেও ভাটা