১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড় থেকে সমতলজুড়ে বাংলাদেশ মেতে উঠবে উৎসবে; নতুন রাঙা দিনের প্রত্যয়ে স্বাগত জানাবে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে।
বিতর্ক আর আলোচনাকে সঙ্গী করে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ফ্যাসিবাদের প্রতীক মোটিফটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পর সেটিও বানানো হচ্ছে নতুন করে।
শোভযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টায়; চারুকলা থেকে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর ঘুরে শেষ হবে সেই চারুকলায়।
"মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
অনুষ্ঠানস্থলে এবারো কোনো ধরনের মুখোশ পরা যাবে না, বহন করা যাবে না ব্যাগ।
একদিন হয়তো ঢাবির নামও বদলাতে হবে— কারণ ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দটাই তো সংস্কৃত থেকে এসেছে! তখন এই প্রতিষ্ঠানকে হয়তো বলা হবে— ‘উচ্চতর জ্ঞান সংরক্ষণ ও বিতরণ কারখানা, ঢাকা শাখা’।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন মোটিভ তৈরি করছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া এই শোভাযাত্রার নাম এবার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে কিনা, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের চিত্র’ ফুটিয়ে তোলা হবে, বলছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বছরের প্রথম দিনের অন্যতম আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চলছে সেই শোভাযাত্রার প্রস্তুতি।