২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
গবেষক ও শিক্ষক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি শাস্ত্রে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে মাস্টার্স এবং পিএইচডি। শিক্ষকতা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্দার্ন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের স্কুল অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিসে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ Water for Poor Women: Quest for an Alternative Paradigm। বিভিন্ন জাতীয়, এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে রাজনীতির নানাবিধ বিষয়ে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ। এর বাইরেও বাংলা এবং ইংরেজিতে লেখালেখি করেন দেশ এবং বিদেশের বিবিধ মাধ্যমে।
একটি দল ডান, বাম, না মধ্যপন্থী তা নির্ভর করে তার ঘোষিত রাজনৈতিক মতাদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কর্মসূচির ওপর।
একটি রাজনৈতিক দলের মূলধারার দল হয়ে ওঠার জন্য আবশ্যকীয় দুটি শর্ত রয়েছে। এর একটি হচ্ছে ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব; আর অপরটি, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন, সংগ্রাম পরিচালনা করতে পারবার সক্ষমতা।
বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আর যাতে কখনো কোনো ক্ষমতাসীন দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে ওঠে, তার জন্য সবচেয়ে যেটা জরুরি তা হলো গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ন্যূনতম শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হয়ে ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের পরাজিত হবার নজির থাকা।
আওয়ামী নেতৃত্ব এবং আওয়ামী ব্যানারে সুবিধাপ্রাপ্তদের একটাই লক্ষ্য ছিল, যে মতাদর্শকে ভিত্তি করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটাকেও ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত করে অর্থনৈতিক লুটপাট, টাকা পাচার এবং ঋণ খেলাপি হওয়া।
বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গায় যত বিপ্লব হয়েছে, তার সবই হয়েছে রাজনৈতিক ব্যানারে, সুস্পষ্ট একটা রাজনৈতিক লক্ষ্য সামনে রেখে। তাহলে, বাংলাদেশে কেন দলীয় ব্যানারে, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য বা মতাদর্শকে সামনে রেখে সরকারের পতন ঘটানো গেল না?
কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই অন্য দেশের জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন, লড়াই, সংগ্রাম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পরিস্থিতি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তৈরি হয়।