মন শান্ত করতে শখের কাজ করার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা হতে পারে কার্যকর ওষুধ।
Published : 14 Jan 2025, 02:09 PM
উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা জীবনের পথে আসবেই। তবে সেসব ধরে বসে থাকলে সমাধান যেমন মিলবে না তেমনি এসব মানসিক চাপ কমানোর পন্থাও রয়েছে।
নিজেকে ভালো রাখতে এবং জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হলে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও দুশ্চিন্তাগুলো ভুলে থাকা শিখতে হবে।
সাইকোলজিটুডে ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করে মজার-ছলে দুশ্চিন্তা কমানোর বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে জানান যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মনোবিজ্ঞানি ক্যারন জেপ।
মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো এমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে।
আনন্দের সাথে মনোযোগ সরাতে
পছন্দের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত পড়া হল- মানসিক অস্বস্তি থেকে সাময়িক ছুটি নেওয়ার অত্যন্ত কার্যকর উপায়। কাজটা কী হবে সেটা নির্ভর করবে কী করে সময় কাটাতে পছন্দ হয়, সেটার ওপর।
হতে পারে সেটা - আড্ডা, বই পড়া, সিনেমা দেখা, গেইমস খেলা, বেড়াতে যাওয়া যে কোনো কিছু।
না বলতে শেখা
জীবনের অনেক ঝামেলা নিয়েই হয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানো নতুন কোনো কাজ বা প্রতিশ্রুতিতে না জড়ানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। হাতে যে কাজ আছে সেটাই যদি শেষ করতে কষ্ট হয় তবে বেশি পয়সার লোভে নতুন কাজ নেওয়াটা কখনই উচিত হবে না।
বেড়াতে যাওয়ার জন্য সময় বের করতে না পারলে, তবে কারও বেড়ানোর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে পরে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো মানে হয় না।
এতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে মানসিক চাপ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই ঘটবে না।
মনকে বিশ্রাম দেওয়া
মানসিক চাপ যদি নাগালের বাইরে চলে যায়, তবে এখনই সময় একটু পিছিয়ে যাওয়ার। কয়েকটা দিনের জন্য নিজেকে ছুটি দিতে হবে।
সব দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো আর সেই সময়ে নিজের প্রিয় কাজগুলোর পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তির জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদি অনুশীলন করা যেতে পারে।
কারও সঙ্গে আলাপ করা
নিজের মধ্যে চেপে থাকা সমস্যাগুলো নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ পেলে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এতে মানসিকভাবে তো হালকা লাগবেই, কে জানে হয়ত কিছু সমস্যার সমাধানও মিলতে পারে।
তবে আলোচনার সঙ্গী নির্বাচনে খুব সাবধান। বিশ্বস্ত কাছের মানুষগুলোর সঙ্গ বেছে নেওয়াই হবে মঙ্গলজনক। প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসা যেতে পারে।
উচ্চস্বরে হাসা
হাসি পৃথিবীর সবচাইতে ভালো ওষুধ। তাই মানসিক অস্বস্তি যখন সহ্যের বাইরে, তখন কিছু অস্বস্তি হেসেই উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
যদি আবার ফিরে আসে তবে আবার হেসে উড়ে দিন।
এখন কীভাবে ওড়াবেন সেটা ঠিক করতে হবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসে স্বাভাবিকভাবে হাসির ছলেই যে বিষয়গুলো অস্বস্তি তৈরি করছে সেগুলো বলে ফেলুন।
আড্ডার আমেজে সেই সমস্যাগুলো নিয়ে কৌতুক করেই অস্বস্তিকে সাময়িক ভুলে যাওয়া সম্ভব।
বিষাক্ত মানুষ এড়িয়ে চলা
যে মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে শান্তি পাওয়া যায় না, তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ভদ্রভাবে তাদের থেকে দূরে থাকার অন্যতম উপায় হল, এসব মানুষগুলোর আড্ডা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া।
আরও পড়ুন
সাময়িক মন খারাপ নাকি বিষণ্নতা- যেভাবে বুঝবেন