পাকিস্তান সুপার লিগে ২০২০ আসরে যে দলে খেলেছেন তামিম ইকবাল, সেই লাহোর কালান্দার্সে এবার সুযোগ পেয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
Published : 14 Jan 2025, 01:44 PM
এবারের বিপিএলে একই দলে খেলছেন তামিম ইকবাল ও রিশাদ হোসেন। চট্টগ্রাম পর্বের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত এখন তাদের দল ফরচুন বরিশাল। তবে বিপিএলের এই ভরা জোয়ারের সময়ই একটু ভিন্ন স্রোতের দোলা দিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট। রিশাদকে দলে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স, যে দলে আগে খেলেছেন তামিম। দল পাওয়ার পরই তরুণ লেগ স্পিনারকে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে কিছুটা ধারণা দিয়ে রেখেছেন তার বরিশাল দলের অধিনায়ক।
দেশের বাইরের লিগে আগেও দুই দফায় দল পেলেও নানা জটিলতায় যাওয়া হয়নি রিশাদের। তবে এবার সব ঠিকঠাক থাকলে পিএসএলে পুরো মৌসুমই দেখা যেতে পারে ২২ বছর বয়সী লেগ স্পিনারকে।
পিএসএলে একাধিক শিরোপাজয়ী দুই দলের একটি লাহোর কালান্দার্স। ২০২২ ও ২০২৩ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
২০২০ আসরে এই দলের হয়ে দুটি এলিমিনেটর ম্যাচ ও ফাইনাল খেলেছিলেন তামিম। এর আগে পিএসএলে তিন মৌসুমে ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি পেশাওয়ার জালমির হয়ে। লাহোরের হয়ে ওই তিন ম্যাচে ভালো করতে পারেননি তিনি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্পর্কে একটি ধারণা তো হয়েছেই।
চট্টগ্রামে মঙ্গলবার বরিশালের অনুশীলনের ফাঁকে রিশাদ সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, লাহোর দল নিয়ে তাকে ছোট্ট করে আশার কথা শুনিয়েছেন তামিম।
“তামিম ভাই আমাকে কালকে বলছিলেন যে, ‘পিএসএলে ডাক পাওয়ার জন্য অভিনন্দন। ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি, খেলে মজা পাবে।’ এটাই বলেছেন তামিম ভাই।”
এই দলের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি এবার বিপিএলে খেলে গেছেন বরিশালের হয়েই। সেখানে রিশাদকে আরও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনারের প্রতি লাহোরের আগ্রহের ক্ষেত্রে এই সংযোগের ভূমিকা থাকতেও পারে।
রিশাদ জানালেন, তিনি নিজেও কিছুটা আভাস পেয়েছিলেন।
“আমার এজেন্ট আমাকে বলেছিল যে, পিএসএলে লাহোর কালন্দার্সে সুযোগ পেয়েছো। এটা আমি আগে থেকেই অনুমান করছিলাম যে, আমাকে নেওয়া হতে পারে। এদিক থেকে তাই স্বাভাবিকই ছিলাম।”
পিএসল নিয়ে অবশ্য এখনই খুব একটা ভাবতে নারাজ রিশাদ। তার সব মনোযোগ এখন চলতি বিপিএল ঘিরেই।
“যে কোনো জায়গায় সুযোগ পাওয়া অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার। প্রথমেই বলব আলহামদুলিল্লাহ। আগেই বলেছিলাম, আমি কোনো আশা করি না, আইপিএল, বিগ ব্যাশ বা পিএসএল, কিছু আশা করি না। এখন বিপিএলে আছি, এখানেই মনোযোগ দিচ্ছি। যখন ওটা (পিএসএল) আসবে, তখন দেখব।”
রিশাদ ছাড়াও এবারের ড্রাফট থেকে নাহিদ রানাকে দলে নিয়েছে পেশাওয়ার জালমি, লিটন কুমার দাসকে করাচি কিংস। তবে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বেশ কজন আবার হতাশ হয়ছেন ড্রাফট থেকে।
রিশাদের ধারণা, পরের মৌসুমে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিদেশের লিগে খেলার সংখ্যা বাড়বে আরও।
“ভালো খেলতে থাকলে হয়তো পরের বছর আরও সুযোগ আসবে, তিন-চার জনের বেশি। কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ না করাই ভালো।”
“আমরা তো সবাই চাইব যে, ১২-১৫ জন, বাইরের লিগগুলো খেলব। এবারের বিপিএল যেমন সুন্দর হচ্ছে, আশা থাকবে, পরে আরও ভালো ভালো টুর্নামেন্ট খেলবে আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা।”